রুহুল আমিন রুকু কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাচকোল এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর রফিকুল ইসলামের দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে ছোট সে। জন্মের পর মাকে হারিয়েছে। সরকারি জায়গায় বসতভিটা হওয়ায় ওয়াপদা বাঁধ থেকে বিতাড়িত হয়ে এখন অন্যেও জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। এমন প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও দৃঢ় মনোবল নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে সে। তার এই অদম্য উৎসাহ দেখে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরাও।জানা যায়, দু’হাতের বাঁকা কব্জি নিয়ে জন্মায় মিনারা। আঙ্গুলও নেই। ফলে প্রতিবন্ধীকতাকে জয় করে দু’হাতের কব্জি দিয়ে শুরু করে লেখালেখির প্রাকটিস। এরপর ভর্তি হয় বাড়ির পাশে কেডি ওয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও পরে কাচকোল খামার সখিনা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। সেখান থেকে ৫ম শ্রেণির সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র সার্টিফিকেট (জেডিসি) পাশ করে ভাল ফলাফলের মাধ্যমে। এখন সে এসএসসি (দাখিল) দিচ্ছে। দরিদ্র এই পরিবারে মিনারার লেখাপড়ার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। তাদের বৃত্তিতেই চলছে তার টানাটানির শিক্ষা জীবন। মিনারা খাতুন জানায়, সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন বড় হতে পারি এবং মানুষের সেবা করতে পারি এবং প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াতে পারি।মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আইয়ুব আলী আকন্দ জানান, মিনারা ছাত্রী হিসেবে ভালো। মাদ্রাসায় লেখা-পড়ার সকল প্রকার দায়িত্ব আমরা নিয়েছিলাম। রাজারভিটা ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মোঃ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, দুই হাতের সাহায্যে লিখে মিনারা ভাল পরীক্ষা দিচ্ছে। মেয়েটি ফলাফল ভাল করবে বলে আমরা আশাবাদি। এব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডাবি্ল এম রায়হান শাহ্ বলেন, আমি দেখিছি এছাড়াও আমার মনে হয়েছে তার মাঝে অনেক গুণ রয়েছে সে ভালো কিছু করতে পারবে।

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কব্জিতে কলম চেপে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মিনারা
Spread the love